সিরিয়ার নতুন প্রশাসন সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগতদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তথ্যদাতা, আসাদপন্থী যোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে আসাদ সরকার উৎখাতের পর নতুন শাসকরা নিজেদের ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এই অভিযান শুরু করেছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান জানান, দামেস্ক, হামা, লাতাকিয়া, হোমস, তারতুস এবং দেইর এজোরসহ সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, হামা ও লাতাকিয়া প্রদেশে আসাদপন্থী মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।
এই অভিযানে সাবেক শাসকের তথ্যদাতা, ইরানপন্থী যোদ্ধা এবং নিম্নপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছে, যারা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনে জড়িত ছিলেন। তবে, কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, যদিও সাবেক সামরিক বিচার বিভাগের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ কানজো হাসান এই অভিযানে আটক হননি।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বন্দিদের ওপর নির্যাতন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেখা গেছে, তবে এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। নতুন শাসকরা এই অভিযানগুলো ‘স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায়’ পরিচালিত বলে দাবি করছে।
এইচটিএস বিদ্রোহীরা ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখল করে আসাদকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে, এবং নতুন প্রধান গোয়েন্দা আনাস খাত্তাব জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তাব্যবস্থার পুনর্গঠন করবেন এবং সাবেক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায় ও অত্যাচার নির্মূল করবেন।